রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

অসাধারণ বরকতময় এক নাম

মুফতি আইয়ুব নাদীম:
সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহর নাম অত্যন্ত বরকতময়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা স্বয়ং ইরশাদ করেন, ‘বড় মহীয়ান তোমার প্রতিপালকের নাম, যিনি গৌরবময়, মহানুভব।’ -সুরা আর রাহমান : ৭৮

এই নাম এতটাই বরকতময় যে, আল্লাহ নামের প্রতিটি বর্ণ আলাদা আলাদা করা হলেও ওই বর্ণ আল্লাহতায়ালাকেই বোঝায়, অন্য কাউকে বোঝায় না। যেমন শুরু থেকে আলিফ বর্ণ ফেলে দিলে, ‘লিল্লাহ’ হয়, লিল্লাহ আল্লাহতায়ালাকেই বোঝায়, পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যা কিছু আছে আকাশমণ্ডলে এবং যা কিছু আছে পৃথিবীতে, সব আল্লাহরই।’ -সুরা আল বাকারা : ২৮৪

অনুরূপভাবে যদি প্রথম লাম বর্ণটি ফেলে দেওয়া হয়, তবু সেই শব্দ আল্লাহকেই বোঝায়, পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আকাশমন্ডলে যা কিছু আছে (তাও) এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে (তাও) সব তারই।’ -সুরা আল বাকারা : ২৫৫

অতঃপর যদি দ্বিতীয় লাম বর্ণটি ফেলে দেওয়া হয়, তবুও সেই বর্ণটি আল্লাহতায়ালাকেই বোঝায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই আল্লাহ যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।’ -সুরা হাশর : ২২

আমাদের জীবন তার জন্য কোরবান হোক, যার নাম এতটাই বরকতপূর্ণ যে পৃথিবীর সর্বাধিক দূরত্বময় জিনিস তার নামের বরকতে সর্বাধিক ঘনিষ্ঠময় জিনিস হয়ে যায়, যেমন ধরুন, একজন গায়রে মাহরাম নারী, শরিয়তের পরিভাষায় একজন পুরুষের জন্য তার সঙ্গে কথা বলা, দেখা করা, একাকিত্বে বসা সবই হারাম। কিন্তু যখন বিবাহের পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে ওই মেয়েটিকে গ্রহণ করা হয়, তখন সেই ওই পুরুষের সর্বাধিক ঘনিষ্ঠজন হয়ে যায়, সে তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়, তাই তো তাকে জীবনসঙ্গী বা জীবনসাথী বলা হয়। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাক।’ -সুরা আল বাকারা : ১৮৭

আমরা জানি, পোশাক শরীরের সবচেয়ে বেশি কাছের। এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, স্ত্রীর সবচেয়ে আপনজন এবং তার কাছের মানুষ হলো স্বামী। আর স্বামীর সবচেয়ে কাছের এবং আপনজন হলো তার স্ত্রী। এতটা প্রেমময় সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা আল্লাহতায়ালার নামের বরকতে হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে লোক সকল! নিজ প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে এবং তারই থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করেছেন। আর তাদের উভয় থেকে বহু নর-নারী (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং আল্লাহকে ভয় করো, যার অসিলা দিয়ে তোমরা একে অন্যের কাছে (নিজেদের হক) চেয়ে থাকো। এবং আত্মীয়দের (অধিকার খর্ব করা) ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।’ -সুরা আন নিসা : ১

অপর এক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তার এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদেরই মধ্য থেকে স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে গিয়ে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা-দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ -সুরা আর রুম : ২১

আল্লাহতায়ালার নাম এতটাই বরকতময় যে, এই নামের বরকতে বিবাহের আগে স্বামী-স্ত্রী সাধারণত আলাদা-আলাদা পরিবেশে লালিত-পালিত হয়। পরস্পরের মধ্যে সম্বন্ধ থাকে না। কিন্তু বিবাহের বরকতে তাদের মধ্যে এমন এক গভীর বন্ধন ও ভালোবাসা গড়ে ওঠে যে, সম্পূর্ণরূপে তারা একে অন্যের হয়ে যায়। তাদের মধ্যে এমন এক প্রেম-প্রীতি সৃষ্টি হয়ে যায় যে, এখন আর একজন অন্যজন ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারে না।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION